যে প্রক্রিয়ায় ভ্রুণ পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পুর্ণাঙ্গ প্রাণীতে পরিনত হয় তাকে রুপান্তর বলে। ঘাস ফড়িং-এর রুপান্তর অসম্পুর্ণ বা হেমিমেটাবোলাস ধরনের। যে রুপান্তরে কোনো প্রাণীর শিশু অবস্থা পূর্ণাঙ্গ দশার সাথে আংশিক মিল হবহন করে তাকে অসম্পূর্ণ রুপান্তর বলে।
ঘাসফড়িং এর রুপান্তর প্রক্রিয়া
১। নিম্ফঃ পরিনত ভ্রুণ থেকে শিশু ফড়িং বের হয়ে আসে। শিশু ফড়িংকে নিম্ফ বলে। নিম্ফ আকারে ছোট, দেহ ফ্যাকাসে, ডানাবিহীন এবং অপরিনত জননাঙ্গ বিশিষ্ট। এর দেহ কিউটিকলের আবরণী দ্বারা আবৃত থাকে।
২। ইমাগোঃ নিম্ফ ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। একডাইসন হরমোনের প্রভাবে এর কিউটিক্লের খোলস মোচন হয়। খোলস মোচন হওয়াকে Moulting বলে। পরিত্যক্ত খোলসকে এক্সুভি বলে। দুই বার খোলস মোচনের মধ্যবর্তী সময়কে স্টোডিয়াম বা ইনস্টার বলে। এদের দেহে ডানা প্যাড গঠিত হয়। প্রতিবার খোলস মোচনের পর নিম্ফ ও ডানা প্যাড বড় হয়। ১১-১২ বার খোলস বদলানোর পর নিম্ফ ইমাগোতে পরিনত হয়।
৩। পুর্ণাঙ্গ ফড়িংঃ ইমাগোই হলো পুর্ণাঙ্গ ফড়িং। তবে ইমাগো কিছু আনুসঙ্গিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পুর্ণাঙ্গ প্রাণীতে পরিনত হয়। সাধারণত খোলস মোচনের মাধ্যমে ৯ মাস পর একটি পুর্ণাঙ্গ ফড়িং সৃষ্টি হয়।